ভবনধসে আহত জিয়াউর জিপিএ-৫ পেয়েছে
জিয়াউর রহমান
অনেক
চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। কলেজে ভর্তি হওয়ার টাকা জোগাড়
করতে চাকরি নিয়েছিল সাভারের রানা প্লাজায় অবস্থিত ফ্যানটম টেক কারখানায়।
কিন্তু ২৪ এপ্রিল ভবনধসে আটকা পড়ে সে। পরের দিন সন্ধ্যায় আহত অবস্থায়
উদ্ধার করা হয় তাকে।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেই ছেলেটি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। নাম তার জিয়াউর রহমান। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে তার বাড়ি।
মুঠোফোনে সাফল্যের খবর পেলেও ঈশ্বরগঞ্জ যেতে পারেনি জিয়া। বকেয়া বেতনের টাকার জন্য এক সপ্তাহ ধরে সাভারে অবস্থান করেছে সে। অবশেষে গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে আট হাজার ২০ টাকা বেতন পায় সে।
জিয়া যে বিদ্যালয়ে পড়েছে, ঈশ্বরগঞ্জের সেই বিশ্বেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাশিম বললেন, ‘জিয়া দরিদ্র হলেও সব শ্রেণীতে প্রথম হতো। নিরলস পরিশ্রম করে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার জিয়াদের নওপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তালাবদ্ধ জরাজীর্ণ একটি কুঁড়েঘর। একজন প্রতিবেশী জানান, ওই ঘরটি ছাড়া জিয়াদের আরও কোনো সম্বল নেই। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে জিয়া তৃতীয়। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ভাই ঢাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে।
জিয়ার সাফল্যে খুশি বাবা আবদুল হেলিম ফকির। একই সঙ্গে উদ্বিগ্ন তিনি, ‘ওকে কীভাবে কলেজে ভর্তি করাব—এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
গতকাল মুঠোফোনে জিয়া জানাল, ১ এপ্রিল সে ফ্যানটম টেক কারখানায় প্রোডাকশন রিপোর্টার হিসেবে তিন হাজার ৬০০ টাকা বেতনে চাকরি নেয়। তার পরিচিতি নম্বর ১৯৩২।
জিয়া বলল, ‘নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আমার নতুন জন্ম হয়েছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক, নয়তো প্রকৌশলী হতে চাই।’
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেই ছেলেটি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। নাম তার জিয়াউর রহমান। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে তার বাড়ি।
মুঠোফোনে সাফল্যের খবর পেলেও ঈশ্বরগঞ্জ যেতে পারেনি জিয়া। বকেয়া বেতনের টাকার জন্য এক সপ্তাহ ধরে সাভারে অবস্থান করেছে সে। অবশেষে গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে আট হাজার ২০ টাকা বেতন পায় সে।
জিয়া যে বিদ্যালয়ে পড়েছে, ঈশ্বরগঞ্জের সেই বিশ্বেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাশিম বললেন, ‘জিয়া দরিদ্র হলেও সব শ্রেণীতে প্রথম হতো। নিরলস পরিশ্রম করে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার জিয়াদের নওপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তালাবদ্ধ জরাজীর্ণ একটি কুঁড়েঘর। একজন প্রতিবেশী জানান, ওই ঘরটি ছাড়া জিয়াদের আরও কোনো সম্বল নেই। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে জিয়া তৃতীয়। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ভাই ঢাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে।
জিয়ার সাফল্যে খুশি বাবা আবদুল হেলিম ফকির। একই সঙ্গে উদ্বিগ্ন তিনি, ‘ওকে কীভাবে কলেজে ভর্তি করাব—এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
গতকাল মুঠোফোনে জিয়া জানাল, ১ এপ্রিল সে ফ্যানটম টেক কারখানায় প্রোডাকশন রিপোর্টার হিসেবে তিন হাজার ৬০০ টাকা বেতনে চাকরি নেয়। তার পরিচিতি নম্বর ১৯৩২।
জিয়া বলল, ‘নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আমার নতুন জন্ম হয়েছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক, নয়তো প্রকৌশলী হতে চাই।’
No comments:
Post a Comment