ওরা দুর্বার
মাকে হারিয়েও দমেনি নুমিয়া
বড় বোনের সঙ্গে নুমিয়া নাহার (ডানে) ষ
ছবি: প্রথম আলো
শৈশবে
বাবাকে হারিয়েছিল নুমিয়া নাহার। এসএসসি পরীক্ষার দিন বাবা মারা যাওয়ায় বড়
বোন লুৎফুন্নাহারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। বাবার অবর্তমানে মা দৌলতুন্নেছা
দুই বোনকে স্নেহ দিয়ে বড় করে তুলছিলেন। নুমিয়াকে ভর্তি করে দিয়েছিলেন বগুড়া
সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। মায়ের অনুপ্রেরণায় এ বছর এসএসসি পরীক্ষায়
অংশ নিয়েছিল সে।
কিন্তু বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষার দিন মা মারা যান। মায়ের শোকে ভেঙে পড়ে নুমিয়া। ওই দিন আর পরীক্ষা দেওয়া হয় না তার। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় পরের পরীক্ষাগুলোও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী নুমিয়া পরীক্ষায় অংশ নেবে না, এমন খবরে ছুটে যান শিক্ষকেরা। তাঁরা নুমিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, বোর্ডের সেরা প্রতিষ্ঠান। একজন ছাত্রী অনুপস্থিত থাকলে সার্বিক ফলাফল পাল্টে যাবে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, মনোবল শক্ত করে নুমিয়াকে তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেন। শিক্ষকদের অনুরোধ আর সান্ত্বনায় পরের পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেয় সে। এক বিষয়ে অনুপস্থিত থেকেও জিপিএ-৪ দশমিক ৭৫ পেয়েছে নুমিয়া। তবে পারিবারিক এ বিয়োগান্তক ঘটনা বিদ্যালয়টির ফলাফলের সার্বিক সাফল্য পাল্টে দিয়েছে। গত বছরের বোর্ডের সেরা থেকে এবার তৃতীয় স্থানে ছিটকে পড়েছে বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। নুমিয়া শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় অন্য শিক্ষকেরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় মা। সেই মাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে পড়েছিল নুমিয়া। পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানার পর আমরা ছুটে যাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার পরও নুমিয়া যে ফলাফল করেছে তাতে আমরা খুশি।’ নুমিয়া জানায়, মায়ের মৃত্যু তার জীবনের সবকিছু পাল্টে দেয়। শিক্ষকদের অনুরোধে শুধু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সে। তবে তার বিদ্যালয় বোর্ডের সেরা না হওয়ায় খুব খারাপ লাগছে।
কিন্তু বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষার দিন মা মারা যান। মায়ের শোকে ভেঙে পড়ে নুমিয়া। ওই দিন আর পরীক্ষা দেওয়া হয় না তার। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় পরের পরীক্ষাগুলোও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী নুমিয়া পরীক্ষায় অংশ নেবে না, এমন খবরে ছুটে যান শিক্ষকেরা। তাঁরা নুমিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, বোর্ডের সেরা প্রতিষ্ঠান। একজন ছাত্রী অনুপস্থিত থাকলে সার্বিক ফলাফল পাল্টে যাবে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, মনোবল শক্ত করে নুমিয়াকে তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেন। শিক্ষকদের অনুরোধ আর সান্ত্বনায় পরের পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেয় সে। এক বিষয়ে অনুপস্থিত থেকেও জিপিএ-৪ দশমিক ৭৫ পেয়েছে নুমিয়া। তবে পারিবারিক এ বিয়োগান্তক ঘটনা বিদ্যালয়টির ফলাফলের সার্বিক সাফল্য পাল্টে দিয়েছে। গত বছরের বোর্ডের সেরা থেকে এবার তৃতীয় স্থানে ছিটকে পড়েছে বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। নুমিয়া শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় অন্য শিক্ষকেরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় মা। সেই মাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে পড়েছিল নুমিয়া। পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানার পর আমরা ছুটে যাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার পরও নুমিয়া যে ফলাফল করেছে তাতে আমরা খুশি।’ নুমিয়া জানায়, মায়ের মৃত্যু তার জীবনের সবকিছু পাল্টে দেয়। শিক্ষকদের অনুরোধে শুধু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সে। তবে তার বিদ্যালয় বোর্ডের সেরা না হওয়ায় খুব খারাপ লাগছে।
No comments:
Post a Comment